সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশি পাইলটদের অন্য দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। তাই ভাড়া করা বিমানের মাধ্যমে চীন থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
করোনাভাইরাস নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়নি। বৈঠকের পর ম্পেশালি ২০/২৫ জন নিয়ে বসে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেভাবেই হোক এটাকে (করোনাভাইরাস) আমাদের দেশে ঢোকা প্রতিরোধ করতে হবে।
সচিব জানান, চীনের উহানে এখনও ১৭১ জন শিক্ষার্থী আছেন। তাদের দেশে আনা হবে। কিন্তু তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ক্রুদের সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশ ভিসা দিতে চাচ্ছে না। এ কারণে বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চার্টার্ড বিমান নিতে বলা হয়েছে।
বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হকও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর এম আবদুল্লাহও ছিলেন বৈঠকে।
সচিব জানান, উহান থেকে ঢাকায় যে চারটি ফ্লাইট আসে, তারা খুব বেশি প্যাসেঞ্জার বহন করে না। তাই ইউএস বাংলাসহ অন্যান্য এয়ারলাইনগুলো নিজেরাই এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।
উল্লেখ্য, চীনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটির উহান সিটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এজন্য গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) উহানে পাঠানো হয় ৪১৯ জন যাত্রী বহনে সক্ষম বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ ‘আকাশ প্রদীপ’। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৩১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকায় আসে উড়োজাহাজটি।
চীনের উহান থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার পর উড়োজাহাজ ‘আকাশ প্রদীপ’কে জীবাণুমুক্ত করতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লেগেছে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের। তবে ফ্লাইটের বর্জ্য নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। কীভাবে এগুলো ধ্বংস করা যাবে তার কোনো উপায় বের করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশব্যাপী নতুন করে আরো ২ হাজার ৮২৯ জন আক্রান্ত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে মোট ১৭ হাজার ২শ হয়েছে।এ ভাইরাসে আরো ৫৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬১ জন।